ক্রমেই পানি সংকটপূর্ণ হয়ে উঠছে বরেন্দ্রখ্যাত রাজশাহী অঞ্চল। দুই বছরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমেছে অন্তত ১০ ফিট। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি পানির স্তর ১২ ফিট ৯ ইঞ্চি নিচে নেমেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নে। এর মধ্যে ৮ ফিট ৯ ইঞ্চি নেমেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের ঝিলিম ইউনিয়নের পানির স্তর। বিকল্প সমাধান খুঁজতে এলাকাগুলোকে ‘পানি সংকটপূর্ণ’ হিসেবে ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার।
প্রতি বছরই খরা মৌসুমে পানির জন্য হাহাকার বরেন্দ্র অঞ্চলের নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। চাষের জন্য এ অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ পানি উঠোনো হচ্ছে দেদার। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অটোরাইস মিলের গভীর নলকূপ। এতে অব্যাহতভাবে নিচে নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সুপেয় পানির যোগান। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানীয়জল সরবরাহে বসানো বহু টিউবয়েল বন্ধ হয়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপের সঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে পানযোগ্য পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক। কিন্তু অনেক এলাকায় এসব গভীর নলকূপও বন্ধ। শুধু পানযোগ্য পানি নয়, ক্রমেই কৃষির জন্যও ন্যূনতম পানি পাওয়া হয়ে উঠছে কঠিন। এ তীব্র সংকটে এসব এলাকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে দারুণভাবে। এ পরিস্থিতিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের কয়েকটি এলাকাকে দেশের প্রথম ওয়াটার ট্রেস এরিয়া বা ‘পানি সংকটপূর্ণ’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পানি সংকটের কারণে রাজশাহীর তানোর উপজেলার বাধাইড় ইউনিয়নকে ‘পানি সংকটপূর্ণ’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিতে যাচ্ছে সরকার। আর এ জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের কাজ এরই মধ্যে শেষ।