গোদাগাড়ী (রাজশাহী) : ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় হস্ত চালিত টিউবওয়েলে তীব্র পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আর তাই বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের সাধারন মানুষ। গোদাগাড়ী উপজেলা পোড়া লাল মাটির বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বেশিরভাগ হস্ত চালিত টিউবওয়েলে পানি মিলছে না। এমনকি একেবারে অকেজো হয়ে পড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ টিউবওয়েল। নদী-নালা পুকুর ও খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ হস্ত চালিত টিউবওয়েলের উপর নির্ভরশীল। এদিকে হস্ত চালিত টিউবওয়েলে পানি না পাওয়ায় খাবার পানি ও সাংসারিক বিভিন্ন কাজ এবং গরু-ছাগলের খাবার পানি নিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার এ অঞ্চলের মানুষ। পানির জন্য ছুটতে হচ্ছে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপের কাছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এ উপজেলা ভু-গর্ভস্থ পানির স্তর ১১০ থেকে ১২৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। আবার কোথাও কোথাও পানির স্তর ১৩৫ ফুট থেকে ১৪০ ফুট পর্যন্ত নিচে নেমে গেছে। গোদাগাড়ী উপজেলার পদ্মা নদীর তীরে গড়ে উঠায় এবং বরেন্দ্র অঞ্চল হওয়ায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার প্রধান অন্তরায় পদ্মা নদী। মরণ বাঁধ ফারাক্কার কারণে পদ্মা নদীতে পানি নেই। পদ্মা নদীর বুক জুড়ে শুধু পলি মাটির চর। এ ছাড়া এ অঞ্চলে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৭০০ এর ও বেশি গভীর নলকূপ থাকায় ভূ-গর্ভস্থ পানির উত্তোলন করে কৃষি কাজে সেচ দেয়ায় ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। কথা হয় উপজেলার গোদাগাড়ী ইউনিয়নের সাগরাম মোড় এলাকার এ গৃহবধূর সঙ্গে, সাংসারিক প্রয়োজনে তাদেরকে ২ কিলোমিটার দুর থেকে পানি নিয়ে আসতে হয়। একই অবস্থা উপজেলার সোনাদিঘী গ্রামের মোয়াম্মেম আলী বলেন, আমাদের টিউবওয়েলটি অকেজো হয়ে পড়েছে। তাই পানির জন্য আমাদের ১ কিলোমিটার দূরে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপে যেতে হয়। গোদাগাড়ী মেডিকেল মোড়ের আলতাব হোসেন বলেন, আমাদের টিউবওয়েলটি অকেজো হয়ে গেছে তাই দুইগ্রাম পার হয়ে আমাদের পানি আনতে হয়।