পচন্ড তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনে দিনে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে পানিয় জলের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতি বছর এ সমস্যা আরো বেশি প্রকোট ধারন হচ্ছে। ১০ বছর আগে বরেন্দ্র অঞ্চলের বাড়িতে বসানো টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। কূয়াগুলো পানি শূণ্য হয়ে পড়েছে। ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার কারণে পানির শঙ্কট আরো চরমে পৌঁচেছে। তীব্র দাবদহে এ অঞ্চলের খাল-বিল, পুকুর-ঘাট শুকিয়ে চকির হয়ে গেছে। গভীর নলকূপের সরবরাহ করা পানিই এখন এ অঞ্চলের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে। সেখানেও দেখা দিয়েছে সমস্যা। বরেন্দ্র বহুমুখি উন্নয়ন কতৃপক্ষের আওতাধীন ১৮০টি গভীর নলকুপও পানির অভাবে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। নষ্ট হওয়া হওয়ার পথে আরো অনেক গভীর নলকূপ। মাত্র এক দশক আগেই বরেন্দ্র অঞ্চলের খাল-বিল, নদী-নালাগুলো সারা বছরই পানিতে পরিপূর্ণ ছিলো। প্রতিটি বাড়িতে ছিলো নলকূল ও কূয়া। তবে এসব এখন অতিত। এক যুগ আগে ৭০ থেকে ৮০ ফিট নিচে পানির স্তর থাকলেও বর্তমান নেমে ১৪০ থেকে ১৬০ ফিট নিচে স্তর চলে গেছে। পানির স্তর নিচে নামার ফলে বিভিন্ন সময় বাড়িতে বসানো টিউবওয়েলগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন দাতা সংস্থাগুলো এখন টিউবওয়েলের বিপরীতে গ্রামে বিদ্যুৎ চালিত সার্ব-মার্সেবল পাম্প বসাচ্ছেন। এছাড়াও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) বরেন্দ্র অঞ্চলে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে বিদ্যুৎচালিত গভীর নলকুপের পাশ্বে বড় বড় পানির ট্যাংকি বসিয়ে গ্রামে গ্রামে সাপ্লাইয়ের মধ্যেমে বিশুদ্ধ পানি সরবরহ করছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্প (বিএমডি) ১২৪টি উপজেলায় ১৫হাজার ১০৫টি গভীর নলকুপ রয়েছে॥ এর মধ্যে ১৮০টি পানির অভাবে পুরোপুরি বন্ধ হয়েগেছে।আর ১৩০টি অল্প পরিসরে পানি উঠছে বা নাজুক অবস্থায় আছে এবং ১২০ টি পুনোরায় আরো বেশি গভীর করে ঠিক করা হয়েছে। বিএমডিএ পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর নলকুপের সঙ্গে সংযুক্ত করে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার লিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ৬২টি ট্যাংকের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে। পাশাপাশি গ্রাম উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা দেশী-বিদেশী দাতা সংস্থা এলজিএসপি, এডিপি, সুশিলোন, ডাসকো ও শরিফ মিলে ইউনিয়ন পরিষদ মাধ্যমে গ্রামে ৩০৭টি সার্ব-মার্সেবল পাম্পের মাধ্যামে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরহ করে গ্রাম উন্নয়নে কাজে করে চলছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অত্যাধিক হারে নিচে নেমে যাওয়ায় গ্রামের কূপগুলির পানি শুকিয়ে গেছে।
লিঙ্ক