agri-solar
বিদ্যুৎ যাবার ভয় নেই, নেই ক্ষেত-খামারে পানি দিতে ডিপটিউবয়েলের ঘরে দীর্ঘ লাইনের অপেক্ষা। সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পের মাধ্যমেই রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের উঁচু জমিতে পৌঁছে যাচ্ছে নদীর পানি। শুকনো পড়ে থাকা জমিতে পানি পাওয়ায় বাড়ছে কৃষকের ফসলের পরিমাণ। কৃষিবিদরা বলছেন, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহারে বাড়ছে ফসলের গুণগত মানও। সৌরবিদ্যুৎ'এর সেচ পাম্প বৃদ্ধির লক্ষে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কৃষিবিদরা বলছেন, ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহারে বাড়ছে ফসলের গুণগত মানও। সৌর বিদ্যুৎ এর সেচ পাম্প বৃদ্ধির লক্ষে নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। রাজশাহীর অংশে পদ্মা নদী থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলের উচ্চতা প্রায় ৭০ থেকে ১২০ ফুট। এসব উঁচু স্থানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অধিকাংশ সময় ফসলি জমি নিয়ে সেচ সংকটে পড়তে হয় কৃষককে। কিন্তু সৌর পাম্পে এসব জমিতে ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহারে পাল্টাতে শুরু করেছে সে চিত্র। এ পাম্পের মাধ্যমে প্রতিদিন পদ্মা ও মহানন্দা নদী থেকে পাইপলাইনে পানি সংগ্রহ করা হচ্ছে বরেন্দ্রর উঁচু জমির পুকুর ও খালে। সৌর পাম্পের মাধ্যমে সে পানি যাচ্ছে কৃষকের জমিতে। এতে একটি পাম্প থেকে প্রতিদিন পূর্ণ সেচ সুবিধা পাচ্ছে অন্তত ১৮০ বিঘা জমি। জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে উঁচু এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে এমন ৬টি সৌর বিদ্যুতের সেচ পাম্প। কৃষি অধিদপ্তর রাজশাহী অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কে.জে.এম আব্দুল আউয়ালের মতে, কৃষকের ইচ্ছেমতো খনিজ সম্পন্ন ভূ-উপরিস্থ এমন পানির ব্যবহারে এ অঞ্চলে মানসম্মত খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যুৎ সেচ নির্ভর জমিগুলোতে সৌর পাম্পের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে জানালেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গোদাগাড়ী জোন-১ সহকারী প্রকৌশলী সৈয়দ জিল্লাল বারী। তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৬টি সোলার পাম্প লাগানো হয়েছে। আরও ১০টি সোলার পাম্প লাগানোর কার্যক্রম হচ্ছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জানায়, জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে আরো ৯৬টি সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্প স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।