কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি মসুরের ডাল চাষে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন। প্রতি বছর আমন আবাদের পর পতিত থাকে এই এলাকার প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমি। আর এই সব জমিতে মসুর ডাল চাষ করা গেলে দেশে ডালের চাহিদা মিটানোর পরও সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা। বরেন্দ্র অঞ্চলের জমিতে আমন ধান চাষের পর প্রায় ছয় মাস পতিত থাকে হাজার হাজার হেক্টর জমি। কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের সহায়তায় এসব পতিত জমিতে এবার মসুর ডাল আবাদ করেছেন অনেক কৃষক। তারা জানান এতে উৎপাদন খরচ কম আবার ফলনও ভাল। ডাল চাষিরা জানান, পানি সংকট তাই আমরা ডাল জাতীয় ফসলে চলে আসছি। অন্যান্য ফসলে লাভ কমে যাওয়ায় আমরা বিভিন্ন প্রকার ডাল, ছোলা, গম চাষ করি। মসুর চাষ সবচেয়ে ভাল এতে বিঘায় আমরা সাড়ে পাঁচ মণ ফলন পাই। বরেন্দ্র অঞ্চলে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম। তার ওপর ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহার করে ফসল আবাদের ফলে এ এলাকার পানির স্তর দিন দিন নিচে নামছে। এ অবস্থায় সেচ নির্ভর ধানের আবাদ বাড়ানোর পরামর্শ কৃষি বিশেষজ্ঞদের। বরেন্দ্র অঞ্চল ও অন্যান্য অঞ্চলে বোরো আবাদ বাদ দিয়ে মসুর ডাল চাষ করলে ডাল উৎপাদনে জমির উর্বরতা বাড়ার পাশাপাশি কৃষকরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি সাশ্রয় হবে এই খাতে আমদানিদায়ক। Link