আমাদের অর্থনীতি : 24.01.2017
ডেস্ক রিপোর্ট : বরেন্দ্রাঞ্চলে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে গত কয়েক বছর যাবৎ খরাপ্রবণ এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ নিরাপদ খাবার পানির সুফল পাচ্ছে। জেলার কিছু অঞ্চলে আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃৃপক্ষ (বিএমডিএ) এই পানি সরবরাহ করছে। বাসস
এই উদ্দেশ্যে বিএমডিএ ১৯৯৫ সালে রাজশাহী, নওগাঁ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ২৫টি উপজেলায় ১ হাজারেরও বেশি পানি সরবরাহ ও ৫০ টি অন্যান্য প্রয়োয়জনীয় অবকাঠামো স্থাপন করে। ‘গভীর নলকূপের বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ’ শীর্ষক চার বছরের প্রকল্পটির তৃতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম চলছে। বিএমডিএ পাইপের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে আরো ৫৫০ টি অবকাঠামো নির্মাণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে এবং এ বছরের শেষের দিকে আরো ৫০ টি পাইপ স্থাপিত হবে । এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। বিএমডিএ-র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক আবদুর রশিদ বাসসকে বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে তীব্র সুপেয় পানির সংকট কমাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আর্সেনিক ও অন্যান্য মারাত্মক জীবানু মুক্ত পানি সরবরাহে প্রয়োজনীয় রাসায়নিক পদার্থ ও গবেষণাগারের জন্য যন্ত্পাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো বছরজুড়ে এই অঞ্চলে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহ করা। বরেন্দ্রাঞ্চলে পানি স্বল্পতার কারণে খাবার পানির সংকট রয়েছে এবং এই সংকট গত কয়েক বছর যাবত তীব্র আকার ধারণ করেছে। তিনি বলেন, গভীর নলকূপ স্থাপনের ব্যয় অনেক বিশেষ করে পিছিয়ে থাকা দরিদ্র এলাকায় অনেক বেশি। এ কারণে অপর্যাপ্ত সেনিটেশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার অভ্যাসের অভাবে জনস্বাস্থ্য হুমকীর মুখে রয়েছে। তিনি জানান, এ বছর জুনের মধ্যে আরো সাড়ে ৬ শ গ্রামে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের মাধ্যমে সাড়ে ৫ লাখ মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হবে, যা জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে। এদিকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, চলতি খরা মৌসুমে গ্রামাঞ্চলের মানুষ নলকূপের মাধ্যমে পানি তুলতে পারছে না, কারণ পানির স্তর অস্বাভাবিকভাবে নীচে চলে গেছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বিস্তীর্ণ এই বরেন্দ্রাঞ্চলে বিশেষ করে তানোর, গোদাগাড়ি, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলার জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় হুমকির কারণ।
Link